Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

অর্জনসমূহ

 

ইউনাইটেড নেশনস পাবলিক সার্ভিস অ্যাওয়ার্ড-২০২০পেয়েছে ভূমি মন্ত্রণালয়

(ঢাকা, শুক্রবার, ০৫ জুন ২০২০) জাতিসংঘের মর্যাদাপূর্ণ ‘ইউনাইটেড নেশনস পাবলিক সার্ভিস অ্যাওয়ার্ড-২০২০’ পেয়েছে বাংলাদেশ ভূমি মন্ত্রণালয়। দেশব্যাপী ই-মিউটেশন উদ্যোগ বাস্তবায়নের স্বীকৃতি হিসেবে মন্ত্রণালয়টি এ পুরস্কার পেয়েছে। বাংলাদেশের ভূমি মন্ত্রণালয় 'ই-মিউটেশন' কার্যক্রমের জন্য ‘স্বচ্ছ ও জবাবদিহি সরকারি প্রতিষ্ঠানের বিকাশ’ ক্যাটাগরিতে  'ইউনাইটেড নেশনস পাবলিক সার্ভিস অ্যাওয়ার্ড ২০২০' পেয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক রূপকল্প ২০২১ ও ২০৪১ বাস্তবায়নে এবং প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব আহমেদ ওয়াজেদ এর স্বপ্ন ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনে ভূমি মন্ত্রণালয় সকল ভূমিসেবা ডিজিটাল সেবায় রূপান্তরের কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর নেতৃত্বে এবং ভূমিসচিব মোঃ মাক্‌ছুদুর রহমান পাটওয়ারীর প্রত্যক্ষ তত্বাবধানে আইসিটি বিভাগের এটুআই প্রকল্পের সার্বিক সহায়তায় ভূমি সংস্কার বোর্ডের মাধ্যমে ই-নামজারি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক বিষয়ক বিভাগের আন্ডার সেক্রেটারি কর্তৃক জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমাকে প্রদত্ত এক চিঠির বরাত দিয়ে আজ আনুষ্ঠানিক ভাবে ভূমি মন্ত্রণালয়কে বিষয়টি জানায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধিকে লেখা চিঠিতে জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক বিষয়ক বিভাগের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল ল্যু ঝেনমিন উল্লেখ করেন, "জনস্বার্থে সেবার উন্নয়নে অসামান্য সাফল্য অর্জন করেছে মন্ত্রণালয়টি (ভূমি) এবং আমি বিশ্বাস করি, ভূমি মন্ত্রণালয়ের এই উদ্যোগ আপনার দেশে জনপ্রশাসনের উন্নয়নে তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রেখেছে। প্রকৃতপক্ষে, এই কাজ (ই-নামজারি) জনসেবায় ব্রতী হতে অন্যদের জন্য অনুপ্রেরণা এবং উৎসাহ হিসাবে কাজ করবে"।

প্রতিবছর ২৩ জুন, যথাযোগ্য আনুষ্ঠানিকতার সঙ্গে জাতিসংঘ দিবসটি উদযাপন করে, এবং এসময় বিশ্বজুড়ে সরকারি খাতে গৃহীত সর্বোত্তম উদ্ভাবনী উদ্যোগসমূহকে পুরস্কারের মাধ্যমে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। বিশ্বব্যাপী কোভিড-১৯ মহামারী-এর প্রাদুর্ভাবের প্রেক্ষাপটে জাতিসংঘ এ বছর পাবলিক সার্ভিস পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান স্থগিত করেছে। তবে জাতিসংঘ তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্নমুখী প্রচার কার্যক্রমের মাধ্যমে এই অসামান্য অর্জন ও পুরস্কার বিজয়ের বিষয়টি তুলে ধরার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। 

ভূমিমন্ত্রীর উদ্যোগে  গত ১ জুলাই ২০১৯ হতে সারাদেশে একযোগে শতভাগ ই-নামজারি বাস্তবায়ন শুরু হয় (তিনটি পার্বত্য জেলা বাদে), বর্তমানে ৪৮৫ টি উপজেলা ভূমি অফিস ও সার্কেল অফিসে এবং ৩৬১৭ টি ইউনিয়ন ভূমি অফিস ই-নামজারি বাস্তবায়ন হচ্ছে, ২০১৯-২০ সনের মে মাস পর্যন্ত ১৫,৫৮,৭৭০ টি আবেদন পাওয়া যায় এবং ১৪,৭২,৫৮৮ টি আবেদন অনলাইনে নিষ্পত্তি হয়েছে। মুজিব বর্ষ উদযাপন উপলক্ষে ১৭ মার্চ ২০২০ হতে ম্যানুয়াল আবেদন গ্রহণ বন্ধ করা হয়েছে। প্রান্তিক অঞ্চলে অনেক সময় সেবা গ্রহীতাগণ ভূমি অফিসে গিয়ে বিভিন্ন সেবা গ্রহণ করেন –ই-মিউটেশন এর কারণে  যা তাঁরা বাসায় বসেই করতে পারেন। ভূমি অফিসে ই-নামজারি চালু হওয়ায় দালালদের দৌরাত্ম্য ও মাঠ পর্যায়ে দুর্নীতির সুযোগ কমছে, সেবা প্রার্থীদের হয়রানি এবং সর্বোপরি সেবা পেতে কম সময় ও কম খরচ হচ্ছে। এর ফলে নাগরিক সন্তুষ্টি বৃদ্ধি পাচ্ছে।

নাগরিক সেবা গ্রহণ করার পর সেবা প্রদানের মান নিয়ে সেবা গ্রহীতাগণ তাঁদের সন্তুষ্টি বা অসন্তুষ্টি বিষয়ক প্রতিক্রিয়া যাতে জানাতে পারেন সেজন্য ওয়েবসাইটে সেই ব্যবস্থা রাখা হয়েছে যাতে এগুলো পরবর্তীতে মূল্যায়ন করে সেবার মান বৃদ্ধি করা যায়।